আরিফ মেহমুদ ॥ কুষ্টিয়ায় ডিবি পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে এক সন্ত্রাসীক ছিনিয়ে নিয়েছে সেচ্ছাসেবকলীগ ক্যাডাররা। আজ সোমবার সাড়ে ১২টার দিকে শহরের মজমপুর গেটে ডিবির গাড়িতে হামলা চালায় তারা। এ সময় গাড়িতে থাকা আকবর হোসেন নামের এক সন্ত্রাসীকে তারা গাড়ি থেকে বের করে দিয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। ডিবি পুলিশ জানায়, আজ সকাল ১২টার দিকে শহরের সাদ্দাম বাজার মোড় এলাকা থেকে আকবর নামের এক সন্ত্রাসীক দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে ডিবির এএসআই মনির হোসেন। ওই সন্ত্রাসীকে ডিবির একটি মাইক্রোবাসে তুলে পুলিশ লাইনে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। মাইক্রোবাসটি শহরের মজমপুর গেটে আসার পর পরই সেচ্ছাসেবক লীগের ২০ থেকে ২৫জন ক্যাডার লাঠি সোটা নিয়ে গাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। সেচ্ছাসেবক লীগ ক্যাডাররা মাইক্রো থেকে সন্ত্রাসী আকবরকে টেনে বের করে নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। গাড়িতে থাকা ডিবির এক সদস্য বলেন, আচমকা সেচছাসেবক লীগ নেতা সবুজের ক্যাডাররা তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের উপর হামলা করে। এতে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছে। হামলা করে সন্ত্রাসীকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে বলে তিনি জানান। হামলার সময় মজমপুর গেটে সেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে জামাত বিরোধী একটি বিক্ষোভ সমাবেশ চলছিল। তাতে সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবু ও সাধারন সম্পাদক পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সবুজ উপস্থিত ছিল। বিপুল সংখ্যাক পুলিশের সামনেই সেচ্ছাসেবক লীগ ক্যাডাররা ডিবির গাড়িতে হামলা করে আসামীকে পালাতে সাহায্য করে। ভাংচুরকৃত মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। হামলার বেশ কিছু সময় পর সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লাবু ও সবুজ ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনার জন্য সবুজ পুলিশের নিকট ক্ষমা চেয়ে নেন। একই সাথে দোষীদের খূজে বের করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার অঙ্গীকার করে ঘটনাস্থল থেকে নেতা-কর্মী নিয়ে চলে যান। এ ব্যাপারে ডিবির ওসি মুরাদ জানান, সেচ্ছাসেবক লীগ ক্যাডাররা মজমপুর গেটে তাদের গাড়িতে হামলা চালিয়ে এক সন্ত্রাসীকে ছিনিয়ে নিয়েছে। ওই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নুল আবেদীন বলেন, ডিবির একটি মাইক্রোতে সেচ্ছাসেবক লীগের সমাবেশ থেকে হামলা করা হয়েছে। এ সময় এক সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়। সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবুর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় তাদের কোন সদস্য জড়িত নয়। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বেশি কিছূ জানেন না বলে জানান। এব্যাপারে থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এঘটনায় কোন পুলিশ সদস্য আহত হয়নি এবং কাউকে আটক করতে পারেনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন