বৃহস্পতিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১২

ডিসি সৈয়দ বেলাল হোসেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যাশা পুরণে কাজ করে যাব

আরিফ মেহমুদ ॥ কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেছেন, আমাদের মহান স্বাধীনতার জন্য পাকহানাদারদের সাথে ৯ মাস সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে দেশের সূর্য্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। দেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিবক ৭মার্চের আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এদেশ থেকে চিরশুত্র“ পাকিস্তানী হানাদারদের উৎখাত করে প্রিয় মাতৃভূমিকে মুক্ত করেছিল। বিগত দিনে সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আজকের প্রজন্মের কাছে তুলে না ধরার কারনে সেদিন তারা যে আশা ও প্রত্যাশা নিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছিল তা পুরণ হয়নি আজো। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক হিসেবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের দাবী-দাওয়া বাস্তবায়নে ও তাদের আশা-প্রত্যাশা পুরণে কাজ করে যাব। জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোন অনুমোতি লাগবেনা থাকবেনা কোন সময় সূচী আমার অফিসের সামনে। কুষ্টিয়া জেলার সাধারণ জনগণসহ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমার দুয়ার খোলা থাকবে সব সময়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ইউনিটের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে মতবিনিময় সভার কাজ শুরু করা হয়। ৬ উপজেলা কমান্ডার ও ডেপুটি কমান্ডারগণ নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসককে একে একে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরন করে নেন কুষ্টিয়া সদর, কুমারখালী, মিরপুর, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া পৌর  আহবায়কবৃন্দ। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোল্লা মাহমুদ হাসান, কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ইউনিটের কমান্ডার নাছিম উদ্দিন আহমেদ, ডেপুটি কমান্ডার আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, হাজী রফিকুল আলম টুকু, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু তৈয়ব, ডেপুটি কমান্ডার মোশাররফ হোসেন, দৌলতপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার আনারুল ইসলাম, ডেপুটি কমান্ডার নাজমুল হুদা, ভেড়ামারা উপজেলা কমান্ডার এ্যাড.আলম জাকারিয়া টিপু, ডেপুটি কমান্ডার মাহাবুবুল ইসলাম, মিরপুর উপজেলা কমান্ডার আফতাব উদ্দিন খান, ডেপুটি কমান্ডার ডাঃ চাঁদ আলী, খোকসা উপজেলা কমান্ডার ফজলুল হক, ডেপুটি কমান্ডার আলাউদ্দিন, কুমারখালি উপজেলা কমান্ডার আমিরুল ইসলাম, ডেপুটি কমান্ডার চাষী ভাইসহ সকল উপজেলা ও ইউনিয়নের নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও ডেপুটি কমান্ডারগণ। জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে আরো বলেন,স্বাধীনতার পর আজো দেশের সূর্যসৈনিক মুক্তিযুদ্ধারা যে ভাবে মর্যাদাবান হওয়ার কথা ছিল,সেভাবে মর্যাদা পাননি হননি সম্মানিত। মুক্তিযুদ্ধাদের সঠিকভাবে কোন সরকারই মূল্যায়ন করেনি কিংবা রাষ্ট্রকর্তৃক মূল্যায়িত হয়নি। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সরকার সূর্যসৈনিক মুক্তিযুদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদার সাথে মূল্যায়ন করে চলেছেন এবং আগামীতে তাদের উত্তরসূরী পরিবারকে মূল্যায়নের ঘোষনা দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধারা স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছিল বলেই আজ আমার মত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জেলা প্রশাসক হতে পেরেছি। স্বাধীনতার কারনে বাঙালি জাতিসত্বার বিকাশ ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে  যে সমস্ত কাজ করা প্রয়োজন আমি তা আন্তরিকভাবে করব।


 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন