শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১২

কুষ্টিয়াকে সুরের মায়াজালে মুগ্ধ করলেন মিতা হক

আরিফ মেহমুদ ॥ যার সুরের যাদু নিজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতে ভিন্ন ভাষাভাষি দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে। সুনাম কুড়িয়েছে বহু খ্যাত সঙ্গীত সন্ধ্যায় ও মঞ্চে পরিবেশন করে। আশির্বাদ পেয়েছে সঙ্গীজ্ঞ ওস্তাদ, পন্ডিত ও গুনিজনের। সেই রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী মিতা হকের গাওয়া গানের সুরের মায়াজালে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মুগ্ধ, সিক্ত হলেন কুষ্টিয়ার হাজারো সঙ্গীতপ্রেমী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা।  রবীন্দ্রনাথের পূজা, প্রেম ও প্রকৃতি ,সন্ধ্যা পর্বের নানান সঙ্গী পরিবেশন করেন তিনি। আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে আছে, আমার ভাঙ্গা পথের রাঙা ধুলোয় ইত্যাদি গান সহ প্রার্থনা পর্বের সব চমৎকার গান গেয়ে শুনান। তার গাওয়া গানের সুথে দর্শক শ্রোতারা মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। কখনো করতালি দিয়ে শিল্পকলা মিলনায়তনকে মুখোর করে তুলে আবার কখনো নিস্তব্ধ নিরবতা মগ্ন হয়ে থাকে। যেন শিল্পীর গাওয়া গানের সুরে দর্শক-শ্রোতারা আবদ্ধ হয়ে যায়। মনের অজান্তে হারিয়ে যায় স্মৃতিময় দিনগুলিতে। জাতীয় রবীন্দ্র সম্মিলন পরিষদ এ সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজনে শুরুতেই রবীন্দ্র সম্মিলন পরিষদ কুষ্টিয়া শাখার শিল্পীরা সুচনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এরপর আমন্ত্রিত শিল্পীরা গান শুরু করেন। সন্ধ্যা সাতটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে সঙ্গীত পরিবশন চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এর আগে সকালে শিল্পী মিতা হক ও রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী তৃপ্তি খান, এটিএম জাহাঙ্গীর জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে কুষ্টিয়ায় দুই দিনব্যাপী রবীন্দ্র সঙ্গীতে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্থানীয় শিল্পীদের রবীন্দ্র সঙ্গীতের উপর তালিম দেন। সঙ্গীত সন্ধ্যায় জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি ম.মনিরুজ্জামন, সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা, জাতীয় পর্যায়ের রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী তৃপ্তি খান, এটিএম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার শিল্পী রীনা বিশ্বাসসহ বিভিন্ন শিল্পী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গীত সন্ধ্যায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার বিদায়ী জেলা প্রশাসক বনমালী ভৌমিক। এসময় অশোক সাহা বলেন, জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার এ আয়োজন তখন সার্থক হবে। যখন জাতীয় পর্যায়ের কুষ্টিয়ার স্থানীয় শিল্পীরা রবীন্দ্র সঙ্গীতের সফলতা অর্জন করবে। আমাদের প্রত্যাশা আজকের এই প্রশিক্ষণার্থী শিল্পীরা একদিন দেশের মুখ উজ্জল করবে। বনে আনবে দেশের সুনাম।   


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন