সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১২

কুষ্টিয়া শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ অবৈধ দখলদারদের দখলে রাস্তার জমি চলছে বেচা-বিক্রি:দেখার কেউ নেই

আরিফ মেহমুদ ॥ কুষ্টিয়ার শহর রক্ষা প্রায় ৩ কিঃ মিঃ বেড়িবাঁধের রাস্তা অবৈধ দখলদারদের দখলে। ভেস্তে যেতে বসেছে যানজট নিরসনে অন্যতম এক বিকল্প সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। বাঁধের এ রাস্তাটি উদ্ধারে কিংবা রক্ষা করতে পাকা সড়ক নির্মাণ অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। অবৈধ দখলদাররা দিনের পর দিন বাঁধের রাস্তার জমি দখল করছে, সেই জমি মোটা টাকাতে চলছে বেচা-বিক্রিও দেখার কেউ নেই। জানা গেছে, কুষ্টিয়া শহরকে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করার জন্য তৈরী করা হয় শহর রক্ষা বেড়িবাঁধ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় প্রায় ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দে ২০১০-১১ অর্থ বছরে বাঁধের কাজ শুরু হয়ে প্রায় ২৬ কোটি টাকা ব্যায়ে বাঁধের কাজ শেষ হয়। কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ার পুরাতন বাঁধ থেকে কুষ্টিয়া মহাশশ্মান পর্যন্ত ২.৬৫ কিমি লম্বা এ বাঁধটি। এর চওড়া ৫ মিটার বার্মসহ ১১ মিটার চওড়া। যা কুষ্টিয়া প্রধান সড়ক এন এস রোডের যানজট নিরসনে এটি হতে পারে অন্যতম এক বিকল্প সড়ক। বিশেষ করে থানাপাড়া পুরাতন বাঁধ থেকে বড় বাজারের ঘোড়ার ঘাট পর্যন্ত রিক্সা-ভ্যান, অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে পারে। এতে করে শহরের প্রধান সড়কের যানজট অনেকটাই নিরসন হতে পারে। বিশেষ করে বড় বাজার এলাকায় প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকে। দিনের বেলায় ট্রাকে করে মালা-মাল লোড-আনলোড করা হয়। এ সময় বড় বাজার এলাকার বারোয়ারীতলা রোড এবং এসসিবি রোডে তীব্র যানজট লেগে থাকে। অনেক সময় রিক্সা-ভ্যান চলাচল করতে পারে না। এসব অবস্থার সমাধান করতে অচিরেই কুষ্টিয়ার শহর রক্ষা প্রায় ৩ কিমি বেড়িবাঁধের রাস্তা পাঁকা করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বেড়িবাঁধের রাস্তা পাঁকা করে যদি শহরের দিকে বেড়িবাঁধের রাস্তা সংলগ্ন করে গাছ লাগিয়ে দেয়া যায়, তাহলে অবৈধ দখলদারদের দখল থেকে রক্ষা পেতে পারে এ বাঁধের রাস্তাটি। অন্যথায় দিন দিন বাঁধের রাস্তাটি পুরোটাই অবৈধ দখলদাররা দখল করে নিতে পারে। এর আগে ড্রেজার দিয়ে নদী খনন করা হয়। এ সময় শহর বড় হয়। ইতিমধ্যে নদী খননের সময় স্থানীয় মাস্তানরা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে চরের জমি বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। এখন বেড়িবাঁধ হবার পর বাঁধের রাস্তার উপরের জায়গাতেও দখলদারদের কালো থাবা চলছে। এব্যাপারে সরকার পদক্ষেপ না নিলে হয়ত বাঁধের রাস্তাটি অবৈধ দখলদারদের দখলে চলে যেতে পারে। তাই অচিরের কুষ্টিয়ার শহর রক্ষা প্রায় ৩ কিমি বেরিবাঁধের রাস্তাটি পাঁকা করে শহরকে যানজট নিরসনের হাত থেকে রক্ষা করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার জানান, বেড়িবাঁধের রাস্তাটি পাঁকা করা হলে কুষ্টিয়া শহরের যানজট অনেকটা কমে আসতে পারে। এ রাস্তাটি ২০ফুট চওড়া হতে পারে। যা কুষ্টিয়ার অন্যতম একটা সড়ক হতে পারে। এটা কুষ্টিয়ার জন্য খুবই জরুরী। তিনি জানান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বেড়িবাঁধের সড়কটি পাঁকা করনের জন্য কোন অর্থ বাজেট নাই। অপরদিকে বেড়িবাঁধের রাস্তাটি পাঁকা করার বিষয়ে, এল জি ই ডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কবির জানান, এলজিইডি’র পক্ষে বেড়িবাঁধের সড়কটি পাঁকা করা সম্ভব। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে নো অবজেকশন দিতে হবে। অর্থাৎ বেড়িবাঁধের সড়কটি পাঁকা করলে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কোন আপত্তি থাকবে না মর্মে লিখিত প্রদান করতে হবে। তাহলে তারা সড়কটি পাঁকা করার জন্য টেন্ডার আহবান করবেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি নিয়ে সরকারের প্রতিনিধি যদি এগিয়ে আসে তাহলে কুষ্টিয়ার শহর রক্ষা প্রায় ৩ কিঃ মিঃ বেড়িবাঁধ যানজট নিরসন ও অবৈধ দখলদারদের দখল থেকে বাঁধের জায়গা রক্ষা করতে সরকারের পদক্ষেপ নেয়া অতি জরুরী।
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন