আরিফ মেহমুদ ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ২নং-মথুরাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বরাদ্দকৃত ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গরীব অসহায় ও সুস্থদের মাঝে পবিত্র ঈদুল আযহার আনন্দ ধরে রাখতে সরকার ভিজিডি প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতি ইউনিয়নে প্রায় ১৫ হাজার থেকে শুরু করে ২০হাজার কেজি চাউল বরাদ্দ দেয়। এসব চাউল দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কাছে পৌছে দেয়া হয়েছে।একটি হল-নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার জাতীয় সংসদ সদস্য এমপি মহোদ্বয়দের ব্যক্তিগত নামের পাওয়া প্রতি ইউনিয়নের জন্য ৫হাজার কেজি এবং দুই হল- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে বরাদ্দকৃত। যা প্রতি ইউনিয়নের প্রায় ১৫শত থেকে ২ হাজার গরীব অসহায় ও সুস্থ পরিবারের মাঝে বিলি-বণ্টন করা যাবে। বরাদ্দকৃত চাউল পরিবার প্রতি ১০ কেজি হারে বিতরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভিজিএফ’র চাউল বিতরনের আগে ইউনিয়নের প্রতি ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি মেম্বরগণ এলাকার গরীব অসহায়,সুস্থদের নামের তালিকা সংশি¬ষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেন। পবিত্র ঈদুল আযহার আনন্দ ধরে রাখতে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ ঈদের কয়েকদিন আগে এসব চাউল বিতরণের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মোতাবেক চাউল বিতরণ চলছে দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে। কেমন চলছে সরকারের ভিজিএফ প্রোগ্রামের চাউল বিতরণ দেখতে গতকাল সরেজমিন উপজেলার ২নং-মথুরাপুর ইউনিয়নের ৬ এবং ৭ নং-ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম। এ দুই ৬ নং-ওয়ার্ডের কান্দির পাড়া এবং ৭ নং-ওয়ার্ডেরে গইড়িপাড়া গ্রামে যেয়ে বেশ কিছু মহিলা-পুরুষের জটলা চোখে পড়ে। শোনা যায়,চাউল না পাওয়ার সরগোল। কি হয়েছে প্রশ্ন করতেই দৌলতপুর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এমপি মহোদ্বয়ের ব্যক্তিগত ভিজিএফ তালিকার লোকজন। এই দুই ওয়ার্ডে প্রায় ২শত ভিজিএফ তালিকার গরীব অসহায় ও সুস্থ পরিবার রয়েছে। তাদের নামে বরাদ্দকৃত চাউল পায়নি তারা। চালের জন্য মেম্বার সাহেবের বাড়ী পর্যন্ত গিয়েছে কিন্তু কোন লাভ হয়নি। কারো কারো সাথে মেম্বার সাহেবের কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন চাউল বিতরণ হয়ে গেছে। কোথায় কিভাবে এ চাউল বিতরণ হয়েছে তার কিছুই জানেনা এসব গরীব অসহায় ও সুস্থ পরিবারের লোকজন। এক কেজিও চাউল পায়নি তারা। চাউল বিতরণ না হওয়ার ব্যাপারে মোবাইল ফোনে কথা হয় ২নং-মথুরাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামের সাথে। তিনিও জানান চাউল বিতরণ করা হয়েছে। এসব মিথ্যা অভিযোগ। সরকার দলীয় লোকজন আমার এবং আমার ইউনিয়নের মেম্বার ও ইউনিয়নের সুনাম নষ্ট করতে এধরনের অভিযোগ করছে। প্রয়োজনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন