কুষ্টিয়ায় চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ করায় সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা সাজ্জাদ হোসেন সবুজ বাদী হয়ে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন সর্বস্তুরের সাংবাদিকবৃন্দ। গতকাল শনিবার বিকেলে দেশতথ্য পত্রিকা কার্যালয়ে এক জরুরী সভায় বক্তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে কর্মসূচী ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়ার কাগজের সম্পাদক সংবাদ সংস্থা বাসস, বাংলাভিশন ও ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি নুর আলম দুলাল জরুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন। জরুরী সভায় কুষ্টিয়া ইলেকট্রনিক জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, ক্রাইম জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের নের্তৃবৃন্দ একাতত্বা ঘোষণা করেন ।
জরুরী সভায় বক্তৃতা কালে কুষ্টিয়া ইলেকট্রনিক জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার ফারুক আহমেদ পিনু বলেন, সাংবাদিকরা ঐক্যবন্ধ রয়েছে। কোন ষড়যন্ত্র সা্বংাদিকদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবে না। সন্ত্রাসীরা যা ইচ্ছা তাই করবে এটা চলতে পারে না। প্রয়োজনে ঢাকায় সাংবাদিক নেতাদের সাথে আলাপ করে কর্মসূচী দিতে হবে।
ফটো সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সভাপতি সাংবাদিক আবুল কাশেম বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা হয়েছে তা রুখে দাড়াতে হবে। প্রয়োজনে লাগাতার কর্মসূচী দিতে হবে। সন্ত্রাসীদের মদদদাতাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করতে হবে।
আইএনবির স্টাফ রিপোর্টার সিনিয়র সাংবাদিক মজিবুল শেখ বলেন, পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন সন্ত্রাসী মানহানি মামলা দিয়েছে এটা হাস্যকর। নানা অপকর্মের হোতা সবুজ ওয়ারেন্টের আসামী হয়েও পুলিশের সাথে সখ্যতা গড়ে তার অবৈধ কাজ অব্যাহত রেখেছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। কেউ যদি মনে করেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করব তা হলে তা হবে তার জন্য আত্মঘাতি।
বার্তা সংস্থা এনএনবির জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক নেতা রেজাউল করিম বলেন, অতীতে শহিদুল ইসলামের মত নেতারাও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হামলা মামলা দিয়ে হয়রানী করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকায় তা ব্যার্থ হয়। অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করার ইতিহাস আমাদের রয়েছে। সবুজের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে এনেছে।
কুষ্টিয়ার কাগজের সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক নুর আলম দুলাল বলেন, আমদেরকে আগে ঠিক হতে হ্েব। চরিত্র বদল বরতে হবে। কেউ এসে আমাকে মেরে যাবে আমি চুপ হয়ে বসে থাকব সে দিন পাল্টে গেছে। সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।
চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের স্টাফ রিপোর্টার শরীফ বিশ্বাস বলেন, মামলা হামলা করে সাংবাদিকদের লেখনি বন্ধ করা যাবে না। একজন সন্ত্রাসী সবুজের কারনে সাংবাদিকরা ভয় পেতে পারে না। তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সবুজ যে মানহানি মামলা করেছে তা সাংবাদিকদের জন্য লজ্জাজনক। আমাদের হাত পা কেটে নেয়ার হুমকি দিয়েছে সবুজের ক্যাডাররা। এ অবস্থায় যে কোন সময় ক্ষতি করতে পারে তারা।
দিনের খবর সম্পাদব ফেরদৌস রিয়াজ জিল্লু বলেন, বোন অন্যায়ের নিকট মাথা নত করা চলবে না। গুটি কয়েক অপরাধির নিকট আমরা জিম্মি থাকতে পারি না। হয় তারা থাকবে না হয় আমরা থাকব। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরটিভির জেলা প্রতিনিধি শেখ হাসান বেলাল বলেন, ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে মানে সকল সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাই ঐক্যবদ্ধ জয়ে অপশক্তির মোকাবেলা করতে হবে। প্রয়োজনে ঢাকায় গিয়ে স্বরামন্ত্রণালয়ে গিয়ে নিরাপত্তা চাইতে হবে।
আন্দোলনের বাজার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলূ বলেন, সত্য প্রকাশ করতে হবে। সামান্য টাকার নিকট অনেকেই বিক্রি হয়ে যায়। এ কারনে অপরাধীরা সুযোগ নিয়ে আমাদের ক্ষতি করে।
কুষ্টিয়া প্রতিদিনের সম্পাদক গাজী টিভির প্রতিনিধি সোহেল রানা বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সেই মামলায় আমাদের সাক্ষী করে বির্তকের মধ্যে ফেলেছে। আমাদের না জানিয়ে সাক্ষী করা হয়েছে। আমি সব সময় সাংবাদিকদের সাথে ছিলাম এখনো আছি।
একুশে টিভি প্রতিনিধি জহরুল ইসলাম বলেন, সত্য সাংবাদ প্রকাশের কারনে মামলা করেছে সবুজ। এটা মেনে নেয়া যায় না।
প্রথম আলো প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের জন্য মামলা হতে পারে না। এ সংবাদ প্রকাশ করার আগে দুই পক্ষের বক্তব্য নেয়া হয়েছে।
সমকাল প্রতিনিধি সাজ্জাদ রানা বলে, সবুজের ক্যাডারদের হুমকির কারনে আমাদের নিরাপত্তা নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে আতংকের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় সাংবাদিকতা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ সময় উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য রাখেন, সময়ের কাগজের সম্পাদক নরুন্নবী বাবু, মানবজমিন প্রতিনিধি দেলোয়ার রহমান মানিক,,ডেসটিনি প্রতিনিধি ও কুষ্টিয়অর খবরের সম্পাদক এএম জুবায়েদ রিপন, বাংলাবাজারের জেলা প্রতিনিধি আরিফ মেহমুদ, দেশতথ্য পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মোমেছুর রহমান, দিনের শেষ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নিজাম উদ্দিন, দৈনিক আজকের আলোর বার্তা সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত, নির্বাহী সম্পাদক লিটন-উজ জামান, দেশতথ্যের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এনামূল হক, সাংবাদিক মিলন খন্দকার, শফিউর রহমান, সময়ের কাগজের সাংবাদিক বখতিয়ার হোসেন, শাহিনুল ইসলাম শাহিন, আজকের আলোর বিশেষ প্রতিনিধি আকরামুজ্জামান আরিফ, সাংবাদিক সোহেল টাণু, মাহবুবুর রহমান, সেলিম আহম্মেদ তাক্কু প্রমুখ।
জরুরী সভায় বক্তৃতা কালে কুষ্টিয়া ইলেকট্রনিক জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার ফারুক আহমেদ পিনু বলেন, সাংবাদিকরা ঐক্যবন্ধ রয়েছে। কোন ষড়যন্ত্র সা্বংাদিকদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবে না। সন্ত্রাসীরা যা ইচ্ছা তাই করবে এটা চলতে পারে না। প্রয়োজনে ঢাকায় সাংবাদিক নেতাদের সাথে আলাপ করে কর্মসূচী দিতে হবে।
ফটো সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সভাপতি সাংবাদিক আবুল কাশেম বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা হয়েছে তা রুখে দাড়াতে হবে। প্রয়োজনে লাগাতার কর্মসূচী দিতে হবে। সন্ত্রাসীদের মদদদাতাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করতে হবে।
আইএনবির স্টাফ রিপোর্টার সিনিয়র সাংবাদিক মজিবুল শেখ বলেন, পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন সন্ত্রাসী মানহানি মামলা দিয়েছে এটা হাস্যকর। নানা অপকর্মের হোতা সবুজ ওয়ারেন্টের আসামী হয়েও পুলিশের সাথে সখ্যতা গড়ে তার অবৈধ কাজ অব্যাহত রেখেছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। কেউ যদি মনে করেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করব তা হলে তা হবে তার জন্য আত্মঘাতি।
বার্তা সংস্থা এনএনবির জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক নেতা রেজাউল করিম বলেন, অতীতে শহিদুল ইসলামের মত নেতারাও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হামলা মামলা দিয়ে হয়রানী করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকায় তা ব্যার্থ হয়। অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করার ইতিহাস আমাদের রয়েছে। সবুজের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে এনেছে।
কুষ্টিয়ার কাগজের সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক নুর আলম দুলাল বলেন, আমদেরকে আগে ঠিক হতে হ্েব। চরিত্র বদল বরতে হবে। কেউ এসে আমাকে মেরে যাবে আমি চুপ হয়ে বসে থাকব সে দিন পাল্টে গেছে। সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।
চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের স্টাফ রিপোর্টার শরীফ বিশ্বাস বলেন, মামলা হামলা করে সাংবাদিকদের লেখনি বন্ধ করা যাবে না। একজন সন্ত্রাসী সবুজের কারনে সাংবাদিকরা ভয় পেতে পারে না। তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সবুজ যে মানহানি মামলা করেছে তা সাংবাদিকদের জন্য লজ্জাজনক। আমাদের হাত পা কেটে নেয়ার হুমকি দিয়েছে সবুজের ক্যাডাররা। এ অবস্থায় যে কোন সময় ক্ষতি করতে পারে তারা।
দিনের খবর সম্পাদব ফেরদৌস রিয়াজ জিল্লু বলেন, বোন অন্যায়ের নিকট মাথা নত করা চলবে না। গুটি কয়েক অপরাধির নিকট আমরা জিম্মি থাকতে পারি না। হয় তারা থাকবে না হয় আমরা থাকব। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরটিভির জেলা প্রতিনিধি শেখ হাসান বেলাল বলেন, ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে মানে সকল সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাই ঐক্যবদ্ধ জয়ে অপশক্তির মোকাবেলা করতে হবে। প্রয়োজনে ঢাকায় গিয়ে স্বরামন্ত্রণালয়ে গিয়ে নিরাপত্তা চাইতে হবে।
আন্দোলনের বাজার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলূ বলেন, সত্য প্রকাশ করতে হবে। সামান্য টাকার নিকট অনেকেই বিক্রি হয়ে যায়। এ কারনে অপরাধীরা সুযোগ নিয়ে আমাদের ক্ষতি করে।
কুষ্টিয়া প্রতিদিনের সম্পাদক গাজী টিভির প্রতিনিধি সোহেল রানা বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সেই মামলায় আমাদের সাক্ষী করে বির্তকের মধ্যে ফেলেছে। আমাদের না জানিয়ে সাক্ষী করা হয়েছে। আমি সব সময় সাংবাদিকদের সাথে ছিলাম এখনো আছি।
একুশে টিভি প্রতিনিধি জহরুল ইসলাম বলেন, সত্য সাংবাদ প্রকাশের কারনে মামলা করেছে সবুজ। এটা মেনে নেয়া যায় না।
প্রথম আলো প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের জন্য মামলা হতে পারে না। এ সংবাদ প্রকাশ করার আগে দুই পক্ষের বক্তব্য নেয়া হয়েছে।
সমকাল প্রতিনিধি সাজ্জাদ রানা বলে, সবুজের ক্যাডারদের হুমকির কারনে আমাদের নিরাপত্তা নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে আতংকের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় সাংবাদিকতা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ সময় উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য রাখেন, সময়ের কাগজের সম্পাদক নরুন্নবী বাবু, মানবজমিন প্রতিনিধি দেলোয়ার রহমান মানিক,,ডেসটিনি প্রতিনিধি ও কুষ্টিয়অর খবরের সম্পাদক এএম জুবায়েদ রিপন, বাংলাবাজারের জেলা প্রতিনিধি আরিফ মেহমুদ, দেশতথ্য পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মোমেছুর রহমান, দিনের শেষ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নিজাম উদ্দিন, দৈনিক আজকের আলোর বার্তা সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত, নির্বাহী সম্পাদক লিটন-উজ জামান, দেশতথ্যের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এনামূল হক, সাংবাদিক মিলন খন্দকার, শফিউর রহমান, সময়ের কাগজের সাংবাদিক বখতিয়ার হোসেন, শাহিনুল ইসলাম শাহিন, আজকের আলোর বিশেষ প্রতিনিধি আকরামুজ্জামান আরিফ, সাংবাদিক সোহেল টাণু, মাহবুবুর রহমান, সেলিম আহম্মেদ তাক্কু প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন