মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই, ২০১২

জেলা এনজিও সমন্বয় কমিটির সভায় বনমালি ভৌমিক দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এনজিওদের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ

আরিফ মেহমুদ ॥ কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক বনমালী ভৌমিক বলেছেন, জিও এবং এনজিওদের মধ্যে ভাল সমন্বয় থাকলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন এগিয়ে নেয়া সম্ভব। ব্যক্তি স্বার্থের কথা চিন্তা না করে বৃহত্তর স্বার্থের জন্য দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে জিওদের পাশাপাশি এনজিওদের সমন্বয় খুবই জরুরী। দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে পারার মধ্যে মজাই আলাদা। দেশের উন্নয়নের জন্য সকলকে নিরলস ভাবে কাজ করতে হবে। বেসরকারী সংস্থা এনজিও দেশের অনেক উন্নয়ন মুলক কাজে সরাসরী অংশীদারিত্ব করছে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে এনজিওদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। দেশব্যাপী ব্যাপক সংখ্যক এনজিও থাকায় বেকার সমস্যারও অনেকটা সমাধান হচ্ছে। সঠিক ভাবে দেখভাল করলে এনজিও’র মাধ্যমে অনেক ভাল কাজ করা সম্ভব। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা এনজিও সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি পরিচালনা ও গত মাসের বিস্তারিত প্রতিকেদন তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খন্দকার আজিম আহমেদ। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরডিসি সিরাজাম মুনিরা। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসার তৌহিদুজ্জামান। এনজিও সংগঠনের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন নিকুশিমাজের নির্বাহী পরিচালক সালমা সুলতানা, জ্যোতি এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা হাবিবা, নারী মুক্তির প্রোগ্রাম কো-অডিনেটর আব্দুল মতিন, আশা এনজিও’র ডিষ্ট্রিক্ট ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম, এইড সংস্থার পিও মিজান পারভেজ, এডাবের সভাপতি এনামুল হক, এডাব চ্যাপ্টার কো-অডিনেটর আনোয়ার হোসেন বুলবুল, সেতু সংস্থার নাজমুল প্রমুখ। তিনি বৃক্ষরোপনে এনজিওদের করনীয় সম্পর্কে বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রচুর পরিমানে গাছ গালান। গাছ বিক্রি করে প্রচুর পরিমান টাকা উপার্জন করা সম্ভব। গাছ ভবিষ্যতের কান্ডারি। গাছ কাউকে ফাঁকি দেয় না এবং বেঈমানি করে  না। এ জন্য বেশী বেশী করে গাছ লাগাতে হবে। বেঁচে থাকার জন্য যেমন অক্সিজের বিকল্প নেই। ঠিক তদ্রুপ গাছ ছাড়া বেঁচে থাকার কথা চিন্তা করা অবাস্তব। মাছ আমাদের কাছে এখন অনেক লোভনীয় জিনিষ। ইচ্ছা করলেই ভাতের সাথে মাছ খেতে পারছি না। কারণ চাহিদার তুলনায় মাছের বেশ অভাব। তিনি মৎস সপ্তাহ পালনে এনজিওদের ভূমিকার ভূয়ষী প্রশংসা করে বলেন মাছ আমাদের পুষ্টির অভাব পুরন করে থাকে। এ জন্য প্রচুর পরিমানে মাছ খাওয়া প্রয়োজন। চাহিদার তুলনায় মাছের উৎপাদন কম হওয়ায় আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী মাছ খেতে পারছিনা। এ জন্য মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের দেশে পর্যাপ্ত পরিমানে পুকুর ও জলাশয় রয়েছে। এগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। বৃক্ষ রোপন ও মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এনজিওদের কে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এনজিওদের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে। দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সার্বিক ভাবে সহায়তা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, কুষ্টিয়া জেলাকে সবুজ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য প্রচুর পরিমানে বৃক্ষ রোপন করতে হবে। সভায় সিদ্ধান্ত হয় আগামী ৩ আগষ্ট পদ্মা নদীর ধারে রেনউইক বাঁধে এনজিওদের উদ্যোগে ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপন করতে হবে। এ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীতে প্রত্যেকটি এনজিও একটি করে গাছ লাগবে এবং গাছটিকে ভাল বেড়া দিয়ে ঘিরে দিতে হবে। রোপনের সময় প্রত্যেকটি গর্তে রাসায়নিক সার দিতে হবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে মাশউক, ব্র্যাক, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, প্রসেস, পদ্মা গড়াই মানবিক উন্নয়ন সংস্থা, উদ্দিপনসহ একাধিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন