শুক্রবার, ২০ জুলাই, ২০১২

আইনশৃংখলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক বনমালী ভৌমিক রমজানে দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে

আরিফ মেহমুদ ॥ কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) বনমালী ভৌমিক বলেছেন, জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, মাহে রমজানে দ্রব্যমুল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটোরিং করা হবে। রমজানকে পূজি করে যাতে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম বাড়িয়ে অধিক মুনাফা অর্জন করতে না পারে। মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারে কোন ভাবেই মূল্য সন্ত্রাস করতে দেয়া হবেনা। কিছু বিছিন্ন বিশৃংখল ঘটনা ছাড়া জেলাবাসী বর্তমানে একটা ভাল সময় পার করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন এলাকায় যুব সমাজের বিশৃংখল দমন করতে ওই সব এলাকায় পুলিশ-র‌্যাব টহল নিয়মিত করা হবে। আইন শৃংখলা বিঘœকারী, মাদক বিক্রেতা, অপরাধী যে দলের কিংবা যতই শক্তিশালি হোক না কেন মাদকদ্রব্য বিক্রির স্পটগুলো বন্ধে তালিকা তৈরী করে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। যে কোন মুল্যে জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও মাদকদ্রব্যের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণ এবং দমন করা হবে। কুষ্টিয়াকে সম্পূর্ন মাদকমুক্ত ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, অন্যান্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জনপ্রতিনিধি সহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।   প্রতিরোধে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে কঠোর হস্তে চোরাচালান বন্ধে র‌্যাব-পুলিশ প্রশাসনসহ বিজিবি ও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি শান্ত ও নিয়ন্ত্রণ রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিগত মাসের প্রতিবেদন তুলে ধরেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ড.মলি¬ক আনোয়ার হোসেন। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শিহাব রায়হান। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) খন্দকার আজিম আহমেদ,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ তরুন কান্তি হালদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নুল আবেদীন, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বদরুদ্দোজা, কুষ্টিয়ার সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.জমির উদ্দিন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম, দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ কুমার মন্ডল, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুর হাফিজ, খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ, সোহেল হাসান, কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, কুমারখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হুসাইন, মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর, সহকারী পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল, র‌্যাব-১২ প্রতিনিধি অশোক কুমার পাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাছিম উদ্দিন আহমেদ, কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডানিট্রজ’র সহ-সভাপতি এসএম কাদেরী শাকিল, বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মোকাররম, খোকসা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আহমেদ খান তাঁতারী, কুমারখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড.নিজামূল হক চন্নু, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মুরাদ, কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মুখলেছ গনি, কুষ্টিয়ার জেল সুপার নুরুল ইসলাম, বিআরটিএ’র ইন্সপেক্টর হুমায়ূন কবির, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আইউব আলী, জেলা যুব উন্নয়নের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, সমাজ সেবার ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আব্দুল গনি, জেলা তথ্য অফিসার তৌহিদুজ্জামান, সিআইডি প্রতিনিধি আকিদুল ইসলাম, এনএসআই’র সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম, নবাব সিরাজ-উদ্দৌলা কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন, সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম বিপ্ল¬ব, জেলা আনসার ভিডিপি প্রতিনিধি আবুল কাশেম, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা হুসাইন, খোকসা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান, মিরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রোজি খান, দেব দুলাল প্র্রমুখ। সভায় কমিটির সদস্যরা হঠাৎ করেই শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্পটে মোটর সাইকেল চুরি ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্দ্যেগ প্রকাশ করেন। জেলার আইনশৃংখলার উন্নতি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও সামনে মাহে রমজানে দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া,বাজার মনিটরিং অফিসারের বাজারের বর্তমান দরের তুলনায় মনগড়া গরমিল রিপোর্ট, লাগাতার চুরি ও ছিনতাই, কিছুটা বৃদ্ধি এবং শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্পটে প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্যে বিক্রি ও মাদকদ্রব্যের ভয়াবহতা নিয়ে উদ্দ্যেগ প্রকাশ করেন। জেলাকে মাদকমুক্ত ও মাদকদ্রব্যের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রনে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর, র‌্যাব-পুলিশ ও বিজিবি অভিযান নিয়ে কড়া সমালোচনা করে বলেন আমাদের যুব সমাজকে মরণ নেশা মাদকদ্রব্যের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে না পারলে দেশ আগামীতে নেতৃত্ব ও মেধা শুন্য হয়ে যাবে। সভায় চলতি বছরের মে-জুন মাসের জেলার ৬ টি উপজেলায় সংঘঠিত ডাকাতী, দস্যুতা, খুন, দাংগা, দাংগাসহ খুন, নারী নির্যাতন, অপহরণ, পুলিশের কাজে বাধাদান, সিঁদেল, পশু, ও তার চুরি, অস্ত্র আইন, চোরাচালান ও অন্যান্য অপরাধের পরিসংখ্যান প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়। এতে চলতি বছরের মে মাসে ১৭৯ টি এবং জুন মাসে ১৫২ টি এবং অপরাধের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন