শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১২

২দিন ব্যাপী শিশু মেলার আলোচনা সভায় বনমালী ভৌমিক,আজকের শিশুই আগামী দিনের আদর্শবান নাগরিক

আরিফ মেহমুদ ॥ কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (যুগ্ম সচিব) বনমালী ভৌমিক বলেছেন, দেশের প্রতিটি শিশুর অধিকার নিশ্চিত করতে সবাইকে অধীক সচেতন হতে হবে। প্রযুক্তির এই যুগে শিশুদের মধো বিকাশে তাদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।   শিশুদের প্রতি কোন প্রকার অবহেলার সুযোগ নেই। অভিভাবকদের মনে রাখতে মেয়ে শিশু আর ছেলে শিশুর মধ্যে কোন বৈষম্য আর ভেদাভেদ ভুলে যতেœর সাথে তাদের সমঅধিকার দিতে হবে। তাদের মত প্রকাশের অবাধ সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। প্রতিটি শিশুর বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। সরকার সমাজের ঝরে পড়া শিশুদের প্রাথমিক শিা বাধ্যতামূলক ও বিনা খরচে শিা লাভের সুযোগ নিশ্চিত করেছে। আজকের শিশুই আগামী দিনের আদর্শবান নাগরিক ও দেশ পরিচালনার নেতৃত্বদারকারী নেতা। তিনি শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, যা প্রকাশ্যে করা যায় না তা মন্দ কাজ। নিজেদের কখনো মন্দ কাজের সাথে জড়াবে না। যত বেশি পড়বে তত বেশি লিখতে পারবে, সুশিায় শিতি হতে পারবে। গতকাল বুধবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে কুষ্টিয়া কালেক্টর চত্বরে শিশু অধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ল্েয আয়োজিত দুই দিনব্যাপী শিশু মেলার উদ্বোধনী দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ উপল্েয সকাল ৯ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন, জেলা তথ্য অফিস, বিভিন্ন এনজিও এবং স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয়। রে‌্যালীটি কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক প্রদণি শেষে কুষ্টিয়া কালেক্টর চত্বরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পাদদেশে আলোচনা সভায় এসে মিলিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ড.মল্লিক আনোয়ার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চাঁদ সুলতানা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক নাসিরা নাসরিন,  জেলা শিা অফিসের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান, এডাব প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন বুলবুল, মেরিট মডেল স্কুলের শিক নুরুন নাহার শেফা ও আন্দোলনের বাজার পত্রিকার ফটো সাংবাদিক জালাল উদ্দিন খোকন। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমনা আখতার তিথি। আলোচনা শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ শিশু মেলার বিভিন্ন ষ্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন। সকাল সাড়ে ১০ টায় বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাক্রীদের অংশ গ্রহনে কবিতা আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে শেষ হয় সাড়ে ১১টায়। এর পর আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগীতা শুরু হয় শেষ হয় দুপুর ১টায়। বিকেলে উম্মুক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় অবুজ মন চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে দিনের অনুষ্ঠান মালা শেষ হয়।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন