মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০১৩

বই মেলার প্রস্তুতি সভায় ডিসি-দেশকে এগিয়ে নিতে জ্ঞান চর্চ্চার কোন বিকল্প নাই

আরিফ মেহমুদ ॥ কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেছেন, আমরা অর্থের পেছনে দৌড়াতে যেয়ে নিজেদের প্রজন্মকে প্রকৃত শিক্ষা থেকে দুরে সরিয়ে রাখছি। আমাদের আগামী প্রজন্মকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে আমাদের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আগে দরকার জ্ঞান চর্চ্চার কিন্তু সে অনুযায়ী মানসম্মত শিক্ষার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। প্রজন্মের কাছে জাতির সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। জাতি সঠিক ইতিহাসের অভাবে আজো ভুল পথেই হাটছেন। স্বাধীনতার দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পরও আমাদের দেশ প্রেম আর সার্ভমৌত্ব নিয়ে নানান পতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। একারনে বই একমাত্র মাধ্যম যা শুধু এদেশই নয় সমগ্র পৃথিবীর সঠিক ইতহাসের স্বাক্ষ্য বহন করে। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত আধুনিক ও উন্নত। বর্তমান এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। আর জানি না, বুঝি না এমন অজুহাতে পিছিয়ে থাকা চলবে না। বই মেলার মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের কাছে সকল ভূল ভ্রান্তির উর্ধে থেকে জাতির সঠিক ইতিহাস সমৃদ্ধ প্রকাশনা তুলে ধরতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জাতীয় গ্রন্থমেলা উপলক্ষে জেলা বই মেলার প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিগত জাতীয় গ্রন্থমেলা ও জেলা বই মেলার বিস্তারিত তুলে ধরে সহযোগিতা করেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ড.মলি¬ক আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. মোল¬া মাহমুদ হাসান, এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উত্তম কুমার রায়, ম্যাজিট্টেট রাসেল মিয়া ও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান। এসময় অন্যানোদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার জুলফিকার আলী আরজু,কুষ্টিয়া সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.জমির উদ্দিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রতিনিধি, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মখলেছুর রহমান, জেলা তথ্য অফিসার তৌহিদুজ্জামান, কবি দরবেশ হাফিজ, জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান, সমাজ সেবা অফিসের প্রতিনিধি, মাসউদ রুমী কলেজের অধ্যক্ষ সজল চৌধুরী, এডাব কুষ্টিয়া চেপ্টারের কো-অর্ডিনেটর আনোয়ার হোসেন বুলবুল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ খান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস হোসেন, মীর মোশারফ হোসেন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা সুলতানা, ব্রাক প্রতিনিধি মোতাহার হোসেন, সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন এনজিও ও লাইব্রেরী প্রতিনিধিবৃন্দ। সভায় উপস্থিত সকলকে মুল কমিটির সদস্য ও বই মেলাকে স্বার্থক ও সুন্দর করার জন্য বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়। বই মেলা উপলক্ষে সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি হতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হবে। পরে পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। বই মেলা আগামী ১৭ মার্চ পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে শুরু হয়ে ১৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে বলে সভায় সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। এবারের বই মেলায় সরকারের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন হয় এমন ও স্বাধীনতা বিরোধী কোন প্রকাশনার বই কিংবা কোন স্টল থাকবে না। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলার সকল স্টল খোলা থাকবে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন