আরিফ মেহমুদ ॥কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেছেন,সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য জেলার মত কুষ্টিয়া আর পিছিয়ে থাকবে না। কুষ্টিয়ার সার্বিক উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের কাজের প্রতি আরো বেশি আন্তরিক হতে হবে। উন্নয়ন বঞ্চিতের প্রতিচ্ছবি সহ ধারাবাহিকতার পরিবর্তন দেখাতে হবে জেলাবাসীকে। উন্নয়নে পরিবর্তন ধরে রাখতে কঠিনতম সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জেলার যোগাযোগ খাতেরও উন্নয়ন দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে। খুব শীঘ্রই বাইপাস সড়ক নির্মাণের জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হচ্ছে। জেলার সার্বিক উন্নয়নে অংশীদারীত্বকারী সকল দপ্তর অধিদপ্তর ও সংশি¬ষ্ট প্রতিষ্ঠানের যে কোন অনিয়মের দায়-দায়িত্ব জেলা প্রশাসন নেবে না। উন্নয়নের নামে গ্রহণকৃত প্রকল্পের কাজের উন্নয়ন কিছুই হয়নি এমন অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলার সার্বিক উন্নয়নে ধারাবাহিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। গতকাল বুধবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন গড়াই নদী খনন প্রকল্পের সাড়ে ৪শত কোটি টাকার কাজে কোন প্রকার অনিয়ম, দূর্নীতি ও অবহেলা সহ্য করা হবেনা। প্রমান পেলেই ব্যবস্থা। তিনি বলেন জেলার একজন কর্মকর্তা তার দায়িত্ববোধ থেকে স্ব স্ব অবস্থান কাজ করলে এদেশ এগিয়ে যাবে। কুষ্টিয়ার সার্বিক উন্নয়নে পরিবর্তন আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সভায় বিগত মাসের প্রতিবেদন তুলে ধরে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড.মলি¬¬ক আনোয়ার হোসেন, আরডিসি জাহিদুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম জামাল আহমেদ, রাসেল মিয়া ও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের নবাগত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম রাহাতুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বদরুদ্দোজা,জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ তরুন কান্তি হালদার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন, র্যাব কমান্ডিং অফিসার রাশেদ ফিয়াম,কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলীমূল রাজিব, দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ কুমার মন্ডল, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহান,কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল হাসান, দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারেজ উদ্দিন খোকসা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আহমেদ খান তাতারী, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিন মিয়া, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাছিম উদ্দিন আহমেদ, কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডানিট্রজ’র সহ-সভাপতি এস এম কাদেরী শাকিল. বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোকারম হোসেন মোয়াজ্জেম,দৌলতপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলী আকবর,ফজিলাতুন্নেছা কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মুরাদ, জেলা আনসার ভিডিপি কমান্ডার কামাল হোসেন, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কবির, কুষ্টিয়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জিএম মুখলেছ গনি, কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক রুস্তম আলী, জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ইফতে খাইরুল করিম, টেলিকমের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুর রহমান, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুজা আলম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার মনজুর ইসলাম, গড়াই নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্পের প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, জেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান, জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাচানুজ্জামান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, জেলা মৎস কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস আখন্দ, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ খান,বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসিনা বানু, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. জেসমিন আক্তার, তথ্য অফিসার তৌহিদুজ্জামান, উদ্যানের পরিচালক একরামুল হক, বনকর্মকর্তা হুমায়ূন কবির, বাজার মনিটরিং অফিসার রবিউল ইসলাম, জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আব্দুল গনি, জেলা সমবায় কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা বিশ্বনাথ পাল, জেলা শিশু কর্মকর্তা মখলেছুর রহমান, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মারুফ হাসান ও মৃত্তিকা কর্মকর্তা ভবানন্দ বসাক প্রমুখ। সভায় গড়াই নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্পের প্রকৌশলী সাইদুর রহমানের জবাবে বক্তারা বলেন, গড়াই নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্পের নামে জেলার মূল উন্নয়নের সিংহভাগ বরাদ্দের কোটি কোটি টাকা কোন প্রকার কাজ ছাড়াই শুভঙ্করের ফাকি দিয়ে গড়াই নদীর স্রোতে গড়িয়ে যাবে এটা হতে দেয়া হবেন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বনবিভাগ সহ জনস্বার্থে পরিবেশ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নেয়া মহৎ উদ্যোগকে কতিপয় দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অযোগ্য কাজের কারনে ভেস্তে যেতে পারেনা। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে হবে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের প্রাগপুরে স্থল বন্দর নির্মাণে প্রয়োজনীয় উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে। খুব শীর্ঘ এর কার্যক্রম শুরু হবে। ভারতীয় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কুষ্টিয়ার শিলাইদহে সফল সুন্দর ও স্বার্থক সফর সম্পূর্ণ হওয়ায় পুলিশ, র্যাব সহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সভায় ধন্যবাদ জানানো হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন