আরিফ মেহমুদ ॥ কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেছেন, ধুমপান বিষ পান, ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এধরনের স্লোগানের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা থাকলেও ধুমপায়ীদের সংখ্যা তেমন একটা কমেনি। প্রতিনিয়তই ধুমপানের প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যের উপর। প্রকাশ্যে ধুমপানের জন্য জরিমানার ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকা সত্বেও এর ক্ষতিকর প্রভাব চলছেই। ধুমপান বন্ধে গঠিত জেলা টাস্কফোর্সকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানে টাঙ্গানো সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করে ধুমপানের কুফল সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে সচেতন করে তুলতে ব্যাপক উদ্দ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। তামাকজাত দ্রব্য তৈরীর কারখানার মালিকদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিয়োজিত শ্রমিকদের কাজে নিয়োগ দিতে হবে। বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের এধরনের কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য তিনি তামাকজাত দ্রব্য তৈরীর কারখানার মালিকদের প্রতি আহবান জানান। গতকাল সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে ধুমপান ও তামাকজাতদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির ত্রৈমাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ তরুণ কান্তি হালদার, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জেসমিন আখতার, জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল গণি,জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মখলেছুর রহমান, কুষ্টিয়া পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর রীনা নাসরিন, জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান, জেলা কৃষি সম্প্রসারনের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসিনা বেগম, এইড’র প্রোগ্রাম অফিসার মিজান পারভেজ, নিকুসিমাজের নির্বাহী পরিচালক সালমা সুলতানা, সাফের নির্বাহী পরিচালক মীর আব্দুর রাজ্জাক ও মহিলা উন্নয়ন সমিতির সভানেত্রী নিলুফা আকতার নাসরিন প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন