শুক্রবার, ১১ মে, ২০১২

কুষ্টিয়া মটরসাইকেল চোর চক্রের ৪ সদস্য আটক

আরিফ মেহমুদ ॥ কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের সামনে ফয়সাল টাওয়ার থেকে ৫টি মটসাইকেল চুরি হয়ে যাওয়া ঘটনার ২৪ দিন পর গতকাল শুক্রবার ৪ চোরকে আটক করে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে মটরসাইকেল চোর চক্রের ৪ সদস্য আটক দেখানো হয়। ৫টি মটসাইকেল চুরি হয়ে যাওয়া ঘটনায় ৪ চোর আটক করলেও মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। আটকতৃরা হল-দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালী গ্রামের মৃত হামেদ আলীর ছেলে চোর চক্রের সদস্য মিরাজ (৩৫), মিরপুর থানার খাদেমপুর গ্রামের  মৃত আয়েন উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আবুল হোসেন (৪২), একই উপজেলার মৃত আপেল উদ্দিনের ছেলে গেদা (৪৫), বাড়াদী মৃত নফছের আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩২)। পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন জানান, গত ১৮ এপ্রিল বুধবার ফয়সাল টাওয়ার থেকে একে একে ৫টি মটরসাইকেল চুরির ঘটনায় পুলিশের কাছে স্বিকারোক্তি করেছে আটকৃত চোর চক্রের ৪সদস্য। আটকৃতরা জানায়, ঘটনার ৪দিন আগে অথ্যাৎ ১৪ এপ্রিল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উদিবাড়ী মনসুর শাহর মাজারের পুকুরের ধারে আন্তজেলা মটরসাইকেল চোর চক্রের নেতা শাহাবুল, মিরাজ, আবুল হোসেন, গেদা, আনোয়ার হোসেন , কুদ্দুস ও আশরাফ মিলে জরুরী মিটিং করে। সেখানে কিভাবে চুরি হবে সমস্থ্য বিষয়ে প্লান তৈরি করা হয়। কথা মত কাজ ঘটনার দিন রাত ১০ টার পর একে একে সবাই হাজির হয় মনসুর শাহর মাজারের পুকুর ঘাটে। সেখানে কে কি দায়িয়ক্ত পালন করবে তা বুঝিয়ে দেন দল নেতা শাহাবুল। এর পর রাত গভীর হলে শুরু হয় অভিযান। প্রথমে ফয়সাল টাওয়ারের গেটে আসেন আবুল হোসেন নাইটগার্ড কি করছে তা দেখতে। দেখে ঘুমিয়েছে। পরে তারা ফয়সাল টাওয়ারের পিছন দিক যেয়ে একে একে মটরসাইকেলের তালা কাটার দিয়ে কেটে রশি দিয়ে বাঁশের সাহায্যে কাঁধে করে সীমানা প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে রাস্তায় আনে একেএকে ৪টি মটরসাইকেল । সেখান থেকে মনসুর শাহ মাজারের ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রাখে হয় মটরসাইকেল গুলো। শাহাবুল ও মিরাজ মিলে পরে শেষে মটরসাইকেলটি টাকিমারার দিকে নিয়ে যায়। যা পরে পুলিশ উদ্ধার করে। শাহাবুল ও মিরাজ দূর্ঘটনার কবলে পড়লে মটরসাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যা বলে মিরাজ স্বীকার করে। বাঁকী ৪টি মটরসাইকেল শাহাবুল নিয়ে যায়। ঘটনার ৩ দিন পর শুক্রবার রাতে মিরাজ, আবুল হোসেন, গেদা, আনোয়ার হোসেন কে বিক্রি হওয়া মটরসাইকেলের ভাগ দেন ৫/৬ হাজার টাকা করে। তবে ঘটনার পর একটি উদ্ধার হলেও বাকী মটরসাইকেল গুলো এখনো উদ্ধার হয়নি। পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, মটরসাইকেল চোর চক্রের মূল হোতা শাহাবুলকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তাকে পাওয়া গেলে সব মটরসাইকেল উদ্ধার করা সম্ভব হবে। পুলিশ হারিয়ে যাওয়া মটরসাইকেল উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জয়নূল আবেদীন, সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান মিঠু, সদর সার্কল মোস্তফা কামাল, মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী জালাল উদ্দিনসহ পুলিশের উদ্ধতন কর্মকর্তারা। হারিয়ে যাওয়া মটরসাইকেল গুলো হল-টিভিএস এ্যাপাচি, হিরোহোন্ডা, প্যালসার, ডিকভারী, হিরোহোন্ডা স্পেলিন্ডার প্লাস। তবে পুলিশ মটরসাইকেল উদ্ধার করলে স্বাধুবাদ জানাবে কুষ্টিয়া মানুষ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন