আরিফ মেহমুদ ॥ কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেছেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ও দেশের সূর্য্য সৈনিক মুক্তিযোদ্ধারা যে আশা ও প্রত্যাশা নিয়ে এদেশ স্বাধীন করেছিল তা পুরণ হয়নি আজো। স্বাধীনতার ৪২ বছর অতিবাহিত হলেও আমরা এখনো স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গ স্বাদ পায়নি। দেশের স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিবক ৭ মার্চের আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণে যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এদেশ থেকে চিরশুত্র“ পাকিস্তানী হানাদারদের উৎখাত করে প্রিয় মাতৃভূমিকে মুক্ত করেছিল তাদের মধ্যে কোন বিভেদ অনৈক্য থাকতে পারেনা। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, আমাদের অহংকার। মুক্তিযোদ্ধারা মহান স্বাধীনতার জন্য অমিত তেজে ও অসীম সাহসিকতা নিয়ে পাকহানাদারদের সাথে রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তাঁরা বাঙালী জাতিকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। যুদ্ধচলাকালিন সময়ে আজকের দিনে কুষ্টিয়ার মুক্তিযোদ্ধারা পাকহানাদারদের সাথে মরণপন যুদ্ধ করেই প্রথম কুষ্টিয়াকে মুক্ত করেছিল। গতকাল রবিবার সকালে কালেক্টরেট চত্বরে কুষ্টিয়া প্রথম মুক্তদিবস উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আগে প্রধান অতিথির নেতৃত্বে কালেক্টরেট ভবন থেকে এক বর্ণাাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরে প্রদক্ষিণ শেষে কালেক্টরেট চত্বরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে এসে শেষ হয়। জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে সমাবেশের শুরুতেই আমাদের মহান স্বাধীনতার মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন ও পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পুষ্প মাল্য অর্পণ করেন। পর পর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষে কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাছিম উদ্দিন আহমেদ,ডেপুডি কমান্ডার আলহাজ্ব রফিকুল আলম টুকু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডের পক্ষে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী ও সাংগঠনিক কমান্ডের আহবায়ক মানিক কুমার ঘোষ সহ সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ শহীদ বেদিতে পুষ্প মাল্য অর্পণ করেন। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড.মল্লিক আনোয়ার হোসেন, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাছিম উদ্দিন আহমেদ ডেপুডি কমান্ডার আলহাজ্ব রফিকুল আলম টুকু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডের আহবায়ক মানিক কুমার ঘোষ সহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন