শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১২

আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবসে সৈয়দ বেলাল হোসেন, প্রতিবন্ধীদের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে

আরিফ মেহমুদ॥ কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেছেন,প্রতিবন্ধীরা আমাদের সমাজের অবজ্ঞা আর অবহেলার পাত্র নয়, তারা আমাদের অতি আপনজন সমাজের সম্পদ। প্রতিবন্ধী মানুষ সমাজের অংশ এবং আমাদের পরিবারের সদস্য। ছোট-বড়,ধনী-গরিব, নারী-পুরুষ, প্রতিবন্ধী-অপ্রতিবন্ধী সবাই মিলেই সমাজ। প্রতিবন্ধীদের মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষায় সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অন্যতম বাধা। তাদের কল্যাণে এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের একান্ত প্রয়োজন। সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রতিবন্ধীদের জীবনের শুরু থেকে বৈষম্য ও অবজ্ঞাপূর্ণ অভিজ্ঞতার মোকাবিলা করতে হয়। এ জন্য আমাদের এ ধরনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। গতকাল সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য সকাল সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া জেলা কালেক্টরেট চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে র‌্যালীতে অংশ গ্রহণ করে এডিডি, কম্পন,বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন কেন্দ্রসহ জেলার বিভিন্ন প্রতিবন্ধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। র‌্যালীটি কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা মিলানায়তনে এসে শেষ হয়। কুষ্টিয়া জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল গনি’র সভাপতিত্বে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় একীভূত সমাজ বিনির্মাণে বাধা দুরের অঙ্গীকার শ্লোগান বাস্তবায়নে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন কুষ্টিয়ার সিভির সার্জন ডাঃ তরুণ কান্তি হালদার, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বদরুদ্দোজা, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন কেন্দ্রের সভাপতি প্রকৌশলী সাইফুল আলম মারুফ প্রমুখ। এতে বিষয় ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন প্রতিবন্ধী সংগঠনের নেতা বাবলুর রহমান, কুষ্টিয়া প্রতিবন্ধী স্কুলের অধ্যক্ষ আসমা আনসারী মিরু ও কম্পনের সভাপতি জেদ আলী। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরো বলেন, অলিম্পিকে বিশেষ অবদানের জন্য স্বর্ণপদক জিতে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত বরেছেন। প্রতিবন্ধী, অটিস্টিক সবাইকে নিয়ে একীভূত সমাজ গঠনের মাধ্যমেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব। এ লক্ষ্যে প্রতিটি পরিবার, সমাজ ও দেশকে সংঘবদ্ধভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। রাষ্ট্রের অনেক সীমাবদ্ধতা সত্বেও এ নীতি বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আলোচনা শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ এনজিও দিশা ও বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন কেন্দ্রের সার্বিক সহযোগিতায় সাদা ছড়ি ও গরমের কম্বল বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেন খঃলুৎফর রহমান।    

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন