শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১২

বেগম রোকেয়া দিবসে ডিসি সৈয়দ বেলাল হোসেন, নারীর ক্ষমতায়নে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে

আরিফ মেহমুদ ॥ কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক বলেছেন, নারী শিক্ষার প্রসার ছাড়া নারী সমাজের ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়। পৃথিবীতে যা কিছু চিরকল্যাণকর অর্ধেক তার গড়েছে নারী অর্ধেক তার নর। আমাদের দেশে বর্তমানে এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে নারী অংশগ্রহণ নাই। নারী সমাজ দেশের মূল জনগোষ্ঠির একটি বিরাট অংশ। সেই মূল জনগোষ্ঠিকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই সবার আগে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সকল কাজে যোগদানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। বেগম রোকেয়া সমাজের প্রবল প্রতাপের বাধা থেকে বেরিয়ে এসে নারী শিক্ষার জাগরণে কাজ করে যান। সেই সঙ্গে তার আন্দোলনে যোগ হয় নারী সমাজের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। বর্তমানে মহিলারা অনেক সচেতন। সচেতন করার পাশাপাশি নারীদেরকে তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা দিতে হবে। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করে নারীর ক্ষমতায়নে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে  জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসিনা বানুর সভাপতিত্বে এবারের রোকেয়া দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় বাল্য বিবাহ এবং নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক পরামর্শ তুলে ধরে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড.মোল্লা মাহমুদ হাসান। আলোচনা সভা শেষে উন্মুক্ত আলোচনায় মোডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, দৈনিক কুষ্টিয়া’র সম্পাদক ড.আমানুর আমান। বেগম রোকেয়া’র জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, এডাবের সভাপতি এনামূল হক, মনোবিজ্ঞানি অধ্যাপক আব্দুল কাইয়ুম, এডাবের কো-অর্ডিনেটর আনোয়ার হোসেন বুলবুল, ইসলামিয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, অভিভাবক ফজলুর রহমান, সাংবাদিক আরিফ মেহমুদ, নিকাহ রেজিস্টার কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের ছাত্র আলমগীর হোসেন, ছাত্রী নিশাত জাহান, সাংবাদিক রবিউল ইসলাম দোলন, সাংবাদিক মওদুদ রানা, অভিভাবক বেগম নূর জাহান প্রমুখ। এতে সুপারিশ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মীর মোশাররফ হোসেন ও কাজী শফিউল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সার্বিক উপস্থাপনা ও পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মর্জিনা বেগম। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন