আরিফ মেহমুদ ॥ বাংলা সিনেমার মহানায়িকা বলে খ্যাত সুচিত্রা সেন মারা গেছেন। কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারী শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান। পঞ্চাশ থেকে সত্তর দশক পর্যন্ত তিনি বাংলা সিনেমার পর্দা কাঁপানো এই অভিনেত্রী দীর্ঘদিন ধরেই লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন। মৃত্যুর আগে অনেকদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশের পাবনা জেলায় জন্ম নেয়া এই অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থা কয়েকদিন ধরেই স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু একটানা ২৪ দিন হাসপাতালে থেকে তিনি বিরক্ত হয়ে ওঠেন। বারবার রক্ত নেয়া, ফিজিওথেরাপি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার চিকিৎসান পদ্ধতিতে তিনি রীতিমতো বিরক্ত হন। এ কারণে তিনি বাড়িও ফিরতে চেয়েছিলেন। এ অবস্থায় মহানায়িকার অবসাদ কাটাতে মিউজিক থেরাপির ব্যবস্থা করেছিলেন চিকিৎসকেরা। অর্থাৎ যতক্ষণ তিনি জেগে থাকতেন, ততক্ষণ তাকে শোনানো হত রামকৃষ্ণ মিশনের প্রার্থনা সঙ্গীত। এই প্রার্থনা সঙ্গীতটি সুচিত্রা সেনের অত্যন্ত প্রিয় ছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি না হলে শনিবারই সুচিত্র সেনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হতে পারে বলেও আভাষ দিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সুচিত্রা সেন পাবনার এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্ম নেন। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত এব মায়ের নাম ইন্দিরা দাশগুপ্ত। যদিও তিনি আজ সুচিত্রা সেন নামে পরিচিত কিন্তু শৈশবে তার নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। রমা ছিলেন সংসারের পঞ্চম সন্তান এবং তৃতীয় কন্যা। বিয়ের পর স্বামী দিবানাথ সেনের সেন যুক্ত করে হয়ে যান রমা সেন। পরে অবশ্য সিনেমায় আসেন সুচিত্র সেন নামে। সুচিত্রা সেনই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পান। ১৯৬৩ সালে তিনি ‘সাত পাকে বাঁধা’ সিনেমার জন্য মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান।
১৯৫২ সালে শেষ কোথায় ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি। পরবর্তী বছরে উত্তম কুমারের বিপরীতে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। ছবিটি বক্স-অফিসে সাফল্য লাভ করে এবং উত্তম-সুচিত্রা জুটি উপহারের কারণে আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। বাংলা ছবির এই অবিসংবাদিত জুটি পরবর্তী ২০ বছর ছিলেন আইকনস্বরূপ। ১৯৫৫ সালের দেবসাদ সিনেমার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন, যা ছিল তার প্রথম হিন্দি ছবি। ১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসরগ্রহণ করেন। এর পর তিনি লোকচক্ষু থেকে আত্মগোপন করেন এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায় ব্রতী হন।
২০০৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য সুচিত্রা সেন মনোনীত হন, কিন্তু ভারতের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে সশরীরে পুরস্কার নিতে দিল্লী যাওয়ায় আপত্তি জানানোর কারণে তাকে পুরস্কার দেয়া হয়নি।তার মেয়ে মুনমুন সেন এবং নাতনী রিয়া সেন ও রাইমা সেনও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বাড়িতে কিন্ডারগার্টেন ১৯৩১ সালে পাবনা শহরের যে বাড়িতে সুচিত্র সেন জন্ম নেন, সেই বাড়িটিতে এখন একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল চালু রয়েছে। শহরের দিলালপুর মহল্লায় হেমসাগর লেনে অবস্থিত একতলা ওই বাড়িটি ছিল সুচিত্র সেনের বাবার। ১৯৪৭ সালে, অর্থাৎ যে বছর ভারত-পাকিস্তান ভাগ, ওই বছর সুচিত্রা সেনের বিয়ে হয় এবং স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় চলে যান।১৯৬০ সালে সুচিত্রা সেনের বাবাও তার বাড়িটি জেলা প্রশাসনের কাছে ভাড়া দিয়ে পরিবার নিয়ে কলকাতায় চলে যান। এরপর দীর্ঘদিন বাড়িটি সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
১৯৮৩ সালে ইমাম গাযযালী ইন্সটিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে বাড়িটি ইজারা নেয় এবং এখানে একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল চালু করে।কিন্তু এর প্রতিবাদে স্থানীয়ভাবে গড়ে তোলা হয় সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ। এক পর্যায়ে প্রশাসন বাড়িটির ইজারা বাতিল করলেও ইমাম গাজ্জালি ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়। সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সম্পাদক রাম দুলাল ভৌমিক বলছেন, “উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে পাবনার জেলা প্রশাসক এই ইজারা বাতিল করেন। কিন্তু তারা হাইকোর্টে রিট করে। তারপর আদালত স্টে অর্ডার দেয় যা ছয় মাস পরপর বাড়াতে থাকে।”
সুচিত্রা সেন পাবনার এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্ম নেন। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত এব মায়ের নাম ইন্দিরা দাশগুপ্ত। যদিও তিনি আজ সুচিত্রা সেন নামে পরিচিত কিন্তু শৈশবে তার নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। রমা ছিলেন সংসারের পঞ্চম সন্তান এবং তৃতীয় কন্যা। বিয়ের পর স্বামী দিবানাথ সেনের সেন যুক্ত করে হয়ে যান রমা সেন। পরে অবশ্য সিনেমায় আসেন সুচিত্র সেন নামে। সুচিত্রা সেনই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পান। ১৯৬৩ সালে তিনি ‘সাত পাকে বাঁধা’ সিনেমার জন্য মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান।
১৯৫২ সালে শেষ কোথায় ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি। পরবর্তী বছরে উত্তম কুমারের বিপরীতে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। ছবিটি বক্স-অফিসে সাফল্য লাভ করে এবং উত্তম-সুচিত্রা জুটি উপহারের কারণে আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। বাংলা ছবির এই অবিসংবাদিত জুটি পরবর্তী ২০ বছর ছিলেন আইকনস্বরূপ। ১৯৫৫ সালের দেবসাদ সিনেমার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন, যা ছিল তার প্রথম হিন্দি ছবি। ১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসরগ্রহণ করেন। এর পর তিনি লোকচক্ষু থেকে আত্মগোপন করেন এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায় ব্রতী হন।
২০০৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য সুচিত্রা সেন মনোনীত হন, কিন্তু ভারতের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে সশরীরে পুরস্কার নিতে দিল্লী যাওয়ায় আপত্তি জানানোর কারণে তাকে পুরস্কার দেয়া হয়নি।তার মেয়ে মুনমুন সেন এবং নাতনী রিয়া সেন ও রাইমা সেনও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বাড়িতে কিন্ডারগার্টেন ১৯৩১ সালে পাবনা শহরের যে বাড়িতে সুচিত্র সেন জন্ম নেন, সেই বাড়িটিতে এখন একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল চালু রয়েছে। শহরের দিলালপুর মহল্লায় হেমসাগর লেনে অবস্থিত একতলা ওই বাড়িটি ছিল সুচিত্র সেনের বাবার। ১৯৪৭ সালে, অর্থাৎ যে বছর ভারত-পাকিস্তান ভাগ, ওই বছর সুচিত্রা সেনের বিয়ে হয় এবং স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় চলে যান।১৯৬০ সালে সুচিত্রা সেনের বাবাও তার বাড়িটি জেলা প্রশাসনের কাছে ভাড়া দিয়ে পরিবার নিয়ে কলকাতায় চলে যান। এরপর দীর্ঘদিন বাড়িটি সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
১৯৮৩ সালে ইমাম গাযযালী ইন্সটিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে বাড়িটি ইজারা নেয় এবং এখানে একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল চালু করে।কিন্তু এর প্রতিবাদে স্থানীয়ভাবে গড়ে তোলা হয় সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ। এক পর্যায়ে প্রশাসন বাড়িটির ইজারা বাতিল করলেও ইমাম গাজ্জালি ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়। সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সম্পাদক রাম দুলাল ভৌমিক বলছেন, “উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে পাবনার জেলা প্রশাসক এই ইজারা বাতিল করেন। কিন্তু তারা হাইকোর্টে রিট করে। তারপর আদালত স্টে অর্ডার দেয় যা ছয় মাস পরপর বাড়াতে থাকে।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন