বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

কুষ্টিয়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে অভিযান, এক কর্মচারীর ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান

আরিফ মেহমুদ ॥ জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করে কুষ্টিয়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে অনিয়ম-দুর্ণীতি করায় ভ্রাম্যমান আদালতে অফিসের এক কর্মচারীকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনের নির্দেশে বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক এসএম জামাল আহমেদ এ রায় প্রদান করেন। দন্ডাদেশ প্রাপ্ত ওই ব্যক্তি দুর্ণীতির আখড়া হিসেবে পরিচিত কুষ্টিয়া সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের এমএলএসএস মাহাতাব উদ্দিন। দুর্ণীতির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট বাংলাদেশ দন্ডবিধির ২৯১ ধারায় এ কারাদন্ড প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস অনিয়ম আর দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়। জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন যোগদানের পর চলতি মাসের শুরুতে দুণীর্তি মুক্ত কুষ্টিয়া সাব- রেজিষ্ট্রি অফিস করার ঘোষণা দেন । এ ঘোষণার পর থেকে একের পর এক ওই অফিসে  ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু তার পরও ঘুষ-দুর্ণীতি আর অনিয়ম বন্ধ হয়নি। গোপনে চলছিল ঘুষ আর দুর্ণীতির কারবার। কয়েকদিন যাবত ভুক্তভোগীরা এ অফিসের কয়েকজন কর্মচারী ও দলিল লেখকদের নামে লিখিতভাবে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এসএম জামাল আহমেদ সেখানে অভিযান চালিয়ে দুর্ণীতির সাথে জড়িত থাকার অপরাধে এমএলএসএস শেখ মাহাতাব উদ্দিন শেখকে হাতে নাতে আটক  করেন। পরে জেলা প্রশাসকের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এসএম জামাল আহমেদের কক্ষে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মাহাতাব উদ্দিন শেখকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। দুর্ণীতির আখড়া হিসেবে পরিচিত কুষ্টিয়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে কারাদন্ড প্রদান করায় ভুক্তভোগী এবং সুধী মহল কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন